দ্বিতীয় গ্লোবাল দাবা লিগঃ নতুন দলের মালিক হলেন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন  

দ্বিতীয় গ্লোবাল দাবা লিগঃ নতুন দলের মালিক হলেন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন

টেক মাহিন্দ্রা এবং আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশনের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে গ্লোবাল দাবা লিগের দ্বিতীয় সংস্করণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যেটি লন্ডনে আগামী  ৩ থেকে ১২ অক্টোবর, ২০২৪ পর্যন্ত   চলবে। তাতে ভারতের ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন নতুন দল আমেরিকান গ্যাম্বিটসের সহ-মালিক হয়েছেন । প্রাচুরা পিপি এবং ভেঙ্কট কে নারায়ণের সাথে হাত মিলিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি উন্মোচন করেছে। তাঁর মধ্যে অন্য পাঁচটি হল, ১) ফ্র্যাঞ্চাইজি-আলপাইন এসজি পাইপার্স, ২)পিবিজি আলাস্কান নাইটস, ৩)গাঞ্জেস গ্র্যান্ডমাস্টার্স, ৪) ত্রিবেণী কন্টিনেন্টাল কিংস এবং ৫)মুম্বা মাস্টার্স। যারা দ্বিতীয় মরশুমেও গ্লোবাল দাবা লিগে রয়েছে।

গ্লোবাল দাবা লিগের সিইও সমীর পাঠক বলেন, ‘গ্লোবাল দাবা লিগের দ্বিতীয় মরশুমের জন্য দলগুলিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। আমরা লিগের বিশ্বব্যাপী প্রসারকে শক্তিশালী করার জন্য সঠিক অংশীদারদের খুঁজে পেয়েছি এবং বিশ্বব্যাপী ভক্তদের কাছে দাবার একটি উত্তেজনাপূর্ণ মরসুম আনার অপেক্ষায় রয়েছি।

আমেরিকান গ্যাম্বিটস নামে দলের মালিক  রবিচন্দ্রন অশ্বিন, প্রাচুরা পিপি এবং ভেঙ্কট কে নারায়ণ ।  চিঙ্গারি অ্যাপের টেক৪বিলিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন চিঙ্গারি গালফ টাইটানস-এর জায়গায় আসছে আমেরিকান গ্যাম্বিটস।

রবিচন্দ্রন অশ্বিন গ্লোবাল দাবা লিগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, দাবা বিশ্বের সঙ্গে আমেরিকান গ্যাম্বিটদের পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। সহ-মালিক হিসাবে, আমি তাদের যাত্রা প্রত্যক্ষ করতে এবং তাদের সাফল্যে অবদান রাখতে পেরে উচ্ছ্বসিত।“

প্রাচুরা পিপি লিখেছেন, “গ্লোবাল দাবা লিগ দাবা বিশ্বের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ লিগ, যেখানে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ খেলোয়াড়রা তাদের দলের হয়ে লড়াই করে। দাবা  ১৯০ টিরও বেশি দেশে খেলা হয়। এটির খেলার জন্য কোনও বয়স বা লিঙ্গের সীমা নেই, সেই খেলায় একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হওয়া একটি দুর্দান্ত সুযোগ”।

গ্লোবাল দাবা লিগের দ্বিতীয় সংস্করণে, প্রতিটি দল ডাবল রাউন্ড-রবিন ফর্ম্যাটে মোট ১০টি করে ম্যাচ খেলবে, প্রতিটি ম্যাচের বিজয়ীকে বেস্ট-অফ-সিক্স বোর্ড স্কোরিং পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি দল কালো এবং সাদা ঘুটিতে পাঁচ করে মোট দশটি  ম্যাচ খেলবে। প্রতিটি  দলের ছয়জন খেলোয়াড় প্রাথমিকভাবে তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাদা বা কালো ঘুটিতে দিয়ে খেলবে, তারপরে একটি  বিপরীত রাউন্ড হবে, যেখানে প্রতিটি দল একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিপরীত রঙের ঘুটিতে দিয়ে পাঁচটি ম্যাচ খেলবে।

প্রতিটি ম্যাচের বিজয়ী দল খেলা ছয়টি ম্যাচের মধ্যে জয় এবং ড্র থেকে সংগৃহীত পয়েন্ট দ্বারা নির্বাচিত হবে সেরা দুটি দল যারা ফাইনালে উঠবে।

 

Comments (0)

Leave a comment

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *