ভেস্তে গেল মুখ্যমন্ত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকঃ বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারে রাজি হল না নবান্ন

ভেস্তে গেল মুখ্যমন্ত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকঃ বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারে রাজি হল না নবান্ন

১২ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, বিকেল ৪.৫৫মিনিটে নাবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও আর জি কর হাসপাতালে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে বৈঠকের ডাক দেন।

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল ৩০ জনকে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে। ডাক্তারদের সেই দাবি মেনে নিয়ে তাঁদের আসতে বলেন।    মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ৩০ সদস্যের দলটি রওনা দেয় নবান্ন সভাঘরের উদ্দেশ্যে।

একটি বাতানুকুল বাসে বসিয়ে দুটি পুলিশি গাড়ির নিরাপত্তার সাথে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে আসা হয় নবান্ন সভাঘরে। রাজ্যের  মুখ্যসচিব অবস্থান্রত ডাক্তারদের মেইল করে জানিয়েছেন আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

ডাক্তারদের ৫দফা দাবির সাথে এটাও দাবি ছিল যে বৈঠকটির  সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। কিন্তু প্রশাসন বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের দাবিটি নাকজ করায় বৈঠকটি সম্পূর্ণ ভেস্তে গেল। প্রশাসনের দাবি যেহেতু মামলাটি এখনও দেশের সর্বচ্চ আদালতে বিচারাধীন তাই কিছু বাধা আছে সরাসরি সম্প্রচারের। তাঁরা জানান, “ডাক্তাররা চাইলে বৈঠকটির ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারেন।”

এর উত্তরে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, “প্রসাসনের অনেক বৈঠক লাইভ হয়। আদালতের শুনানি লাইভ হয়। অসুবিধা কোথায়? জুনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের দাবিতে অনড় ছিলেন। কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় তাঁরা এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার ইছা থাকলেও সভাঘরের দোরগোড়া থেকে হতাশ হয়ে ফিরলেন।

পরে সন্ধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” যখন একটা বিচার সুপ্রিম কোর্টে চলছে তখন আমরা লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারিনা। আমরা ভিডিও গ্রাফির ব্যবস্থা করেছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে সেটি  আমরা শেয়ার করতেও পারতাম। আমি ৩ দিন সময়   দিয়েছি। আজও দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম। তাঁরা এলেন না। তাঁরা কেন এলেন না বা সভাঘরে ঢুকলেন না আমি জানিনা।  অনেক কুৎসা ও  অনেক অপপ্রচার হয়েছে। মানুষ এসেছিলেন বিচার চাইতে তিলোত্তমার। ওরা বিচার চায় না। ওরা চায় চেয়ার। আমি মানুষের স্বার্থে চেয়ার ছাড়তে ও নিজেও পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। বাংলার মানুষের আবেগের কাছে আমি বলব, আমি ক্ষমা  চাইছি আপনাদের কাছে। আপনারা আশা করেছিলেন আজ হয়তো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আজ আমি দুই ঘণ্টা বসেছিলাম কিন্তু তাঁরা এলেন না।”

Comments (0)

Leave a comment

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *